অ্যাভোকাডো ফলের উপকারিতা - Benefits of Avocado Fruit

অ্যাভোকাডো ফলের উপকারিতা অনেক, অ্যাভোকাডো একটি বিদেশি ফল মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশে দেশীয় ফল হিসেবে চাষ হয়ে থাকে। বর্তমান সময়ে বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চলে অ্যাভোকাডো ফলটি চাষ হচ্ছে।

অ্যাভোকাডো ফলের উপকারিতা

অ্যাভোকাডো ফলে বিভিন্ন উপাদান থাকায় অ্যাভোকাডো ফলটি বাজারে প্রচুর চাহিদা।প্রিয় পাঠক-পাঠিকা অ্যাভোকাডো ফলের উপকারিতা ও অ্যাভোকাডো ফল সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে আর্টিকেলটি শেষ পর্যন্ত পড়ুন।

অ্যাভোকাডো ফলের উপকারিতা - Benefits of Avocado Fruit

অ্যাভোকাডো একটি চাষ উপযোগী বিদেশী ফল বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চলে এই ফলটির চাষ শুরু হয়েছে। অ্যাভোকাডো ফলের মূল অংশ কার্বোহাইড্রেট দিয়ে গঠিত, তবে অ্যাভোকাডো ফলে প্রচুর স্বাস্থ্যকর ফ্যাট আছে। অ্যাভোকাডো দেহের সোডিয়াম, সুগার ও কোলেস্টেরল মুক্ত রাখে। অ্যাভোকাডো ফল ক্যালরি সমৃদ্ধ, এই ফলে শরীরের উপকারী ফ্যাট যথেষ্ট থাকে।

অ্যাভোকাডো ফল হার্ড সুরক্ষিত রাখে, ক্যান্সার ও কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। ওজন কমাতে ও শরীরের চর্বি কমাতে যে উপাদান গুলো প্রয়োজন সেগুলি অ্যাভোকাডোতে প্রচুর আছে। অ্যাভোকাডো ফলে ২০ টিরো বেশি উপাদান রয়েছে যেগুলি আমাদের শরীরের জন্য বেশ উপকারী।

একটি ১০ গ্রাম ওজনের অ্যাভোকাডোতে যে উপাদানগুলি থাকে সেগুলো হচ্ছে ভিটামিন-কে ২৬%, ফোলেট ২০%, ভিটামিন-সি ১৭%, পটাশিয়াম ১৪, ভিটামিন-বি ৫.১৪%, ভিটামিন-ই ১০% এই উপাদানগুলো অ্যাভোকাডো থেকে আমরা পেয়ে থাকি। অ্যাভোকাডো রক্তচাপ কমাতে হার্ট অ্যাটাক ও ইস্টোকের হাত থেকে রক্ষা পেতে বেশ প্রয়োজনীয় উপাদান।

এছাড়াও নিয়মিত অ্যাভোকাডো খেলে ঘুম ভালো হয়, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে, কোষ্ঠকাঠিন্যর মত ও হজমের সমস্যা থাকলে তা নির্মূল কর, হার্ট অ্যাটাক ঝাকি থেকে রক্ষা করে এছাড়া আরো বিভিন্ন উপাদান আছে অ্যাভোকাডো ফলে।

অ্যাভোকাডো কোথায় পাওয়া যায়

পূর্ব এবং মধ্য মেক্সিকো থেকে শুরু করে গুয়াতেলামা মধ্য আমেরিকা ও আরো মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশে অ্যাভোকাডো চাষ হয়ে থাকে। মেক্সিকোতে প্রায় ১০০০০ বছর আগে থেকে অ্যাভোকাডো চাষ হচ্ছে। অ্যাভোকাডোতে বিভিন্ন ভিটামিন ও পুষ্টিগুণের পরিমাণ অনেক থাকার বাংলাদেশেও অ্যাভোকাডো চাষ করা হচ্ছে।

একটি অ্যাভোকাডোর গাছ থেকে ফল পেতে প্রায় ৫ থেকে ৮ বছর সময় লাগে তাই বাংলাদেশে অ্যাভোকাডো এখনো তেমনভাবে চাষ হয় না। অ্যাভোকাডোর বাজার মূল্য বেশি হওয়ায় চাষিরা অ্যাভোকাডো চাষ করতে স্বাচ্ছন্দ বোধ করে। কৃষি মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুসারে বাংলাদেশে ১০ হেক্টর জমিতে অ্যাভোকাডো চাষ হয় এবং প্রতিবছর অ্যাভোকাডোর চাহিদা প্রায় ৬ হাজার টন থাকে।

বাংলাদেশের রাজশাহী, বগুড়া, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, দিনাজপুর এবং খাগড়াছড়িতে বাণিজ্যিকভাবে অ্যাভোকাডো চাষ হচ্ছে। বাংলাদেশের ঋতু অনুযায়ী জুন ও জুলাই মাস অ্যাভোকাডো চাষ উপযোগী। প্রথম আলোর তথ্য মতে চাঁপাইনবাবগঞ্জ এর হটিকালচার সেন্টারে এই গাছটি কেউ ক্রয় করতে চাইলে সেখানে পাওয়া যায়।

চাঁপাইনবাবগঞ্জ হটিকালচার সেন্টারে ২০০২ সাল থেকে এই গাছটি রোপন করা হচ্ছে। বর্তমান সময়ে চাঁপাইনবাবগঞ্জ হর্টিকালচার সেন্টারে ফলসহ দেখা মিলবে অ্যাভোকাডো গাছটির।

অ্যাভোকাডো তেল কোথায় পাওয়া যায়

অ্যাভোকাডোর যেমন প্রচুর উপাদান রয়েছে সেই সঙ্গে অ্যাভোকাডোর তেলেরও প্রচুর গুনাগুন রয়েছে। অ্যাভোকাডোর তেল চুল ও ত্বকের জন্য অনেক উপকারী। চুল পড়া বন্ধ করে চুল সিল্কি কালো ঘন ও শক্ত করে শুধু যে চুলের জন্য অ্যাভোকাডোর তেল উপকারী তা কিন্তু নয় পুরো শরীরের জন্য বেশ উপকারী অ্যাভোকাডোর তেল।

খুশকো ত্বক থেকে রক্ষা পেতে অ্যাভোকাডোর তেল ব্যবহার করা হয়। আবার ত্বক কে  সুন্দর রাখতে অ্যাভোকাডোর তেল ব্যবহার করে। অ্যাভোকাডোর তেল সব জায়গাতে পাওয়া যায় না বড় সুপার শপ এ এই তেল পাওয়া যায় তাছাড়া অনলাইনে বিভিন্ন মার্কেটপ্লেসে এই তেলটি পাবেন।

অ্যাভোকাডো খাওয়ার নিয়ম

অ্যাভোকাডোর প্রচলন বাংলাদেশ কম থাকায় অ্যাভোকাডো কিভাবে খাবেন অথবা অ্যাভোকাডো ফল কিভাবে খেলে উপকারিতা বেশি পাওয়া যায় এগুলা নিয়ে সবাই চিন্তিত থাকেন। অ্যাভোকাডো এমন একটি ফল যাকে আপনি বিভিন্ন-ভাবে খেতে পারবেন যেমন ধরেন অ্যাভোকাডো স্লাইস বানিয়ে।

  • অ্যাভোকাডো টোস্ট অথবা বিস্কিট এর সঙ্গে খেতে পারেন।
  • অ্যাভোকাডোর সালাত বানিয়ে খেতে পারেন।
  • পেয়ারার মতো করে অ্যাভোকাডো খেতে পারেন।
  • বিভিন্ন খাবারের সঙ্গে অ্যাভোকাডো মিশিয়ে খেতে পারেন।
  • এছাড়া আরো বিভিন্নভাবে খেতে পারবেন রান্না করে জ্বালিয়ে ইত্যাদি ভাবে খেতে পারবেন অ্যাভোকাডো।

অ্যাভোকাডো চারার দাম

বাংলাদেশের অ্যাভোকাডোর চারা খুব কম পাওয়া যায়, বিভিন্ন নার্সারিতে আপনি অ্যাভোকাডো চারা পেলেও সেগুলো ভালো হয় না। অ্যাভোকাডোর চারা নেওয়ার সময় আপনাকে লক্ষ্য রাখতে হবে চারাটি কলম করা নাকি বীজের। কলমের চারা হলে খুব তাড়াতাড়ি ফল আসে। বিভিন্ন নার্সারিতে বিভিন্ন দামে অ্যাভোকাডো চারা পাওয়া যায় ২৫০০ টাকার ভিতরে অ্যাভোকাডো চারা বিভিন্ন নার্সারিতে পেয়ে যাবেন।

অ্যাভোকাডো

মেক্সিকো এবং মধ্য আমেরিকার প্রশান্ত মহাসাগর উপকূল অঞ্চলের দেশগুলোতে অ্যাভোকাডো চাষ হয়ে থাকে। অ্যাভোকাডো মেক্সিকোতে প্রায় ১০০০ আগে থেকে অ্যাভোকাডো দেশীয় ফল হিসেবে চাষ হয়ে থাকে। অ্যাভোকাডো গাছ বীজ ও ডাল কলম থেকে হয়ে থাকে। অ্যাভোকাডো গাছে ফল আসতে প্রায় ৬ থেকে ৮ বছর সময় লাগে।

অ্যাভোকাডোতে প্রচুর ভিটামিন ও পুষ্টিগুণের উপাদান থাকায় এটি বাজারে অনেক চাহিদা। বাংলাদেশের সব জায়গাতে অ্যাভোকাডো ফলটি পাওয়া যায় না বিভিন্ন সুপার-শপ এ অ্যাভোকাডোর দেখা মিলে। অ্যাভোকাডো ফলটির বাংলাদেশ বাজারে প্রচুর দাম প্রতি কেজিতে ৮০০ থেকে ১২০০ টাকা লাগে তার জন্য এই ফলটি সবার পক্ষে খাওয়া সম্ভব হয় না।

প্রিয় পাঠক-পাঠিকা অ্যাভোকাডো ফলের উপকারিতা কতটা তার সম্পর্কে নিশ্চয়ই আর্টিকেলটি পড়ে জানতে পেরেছেন। অ্যাভোকাডো ফলের উপকারিতা অনেক প্রচুর ভিটামিন-পুষ্টিগুণ উপাদান আছে যেগুলো আমাদের শরীরের বিভিন্ন রোগ থেকে রক্ষা করে থাকে। আশা করি অ্যাভোকাডো ফলের উপকারিতা সম্পর্কে জানতে পেরেছেন ধন্যবাদ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

Motivational Spech কে আপনার অনুভূতি জানান

comment url